আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জালকুড়িতে ডাকাত বলে পুলিশের উপর হামলা, ৪ জন কারাগারে

সংবাদচর্চা রিপোর্ট: সিদ্ধিরগঞ্জে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারিকৃত আসামি ধরতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন পুলিশের তিন সদস্য। গতকাল শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকার লোকজনকে জড়ো করে এ ঘটনায় হামলার শিকার হয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. নুরুজ্জামান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে৷ এখন পর্যন্ত এ মামলায় চারজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি পশ্চিম পাড়া এলাকার এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. ওয়াসিম (২৯), একই এলাকার গোলাম আলীর ছেলে আমিনুল ইসলাম (৫৫), গোদনাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকার মো. সোলায়মানের ছেলে মো. সামসুজ্জামান(২৮), চাঁদপুর জেলা পুলিশ লাইনসের পেছনে বাবুরহাট এলাকার হুমায়ুন কবির খানের ছেলে মারুফ খান (১৮)৷ অন্য আসামিরা হলো সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি কড়ইতলা এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে রবিন (৩৫), মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে মতিন (৪৫), জহুর আলীর ছেলে ফকির মনির (৪০), আক্কীস (৪২), মতিনের ছেলে আশিক (২৫), বিল্লাল (৪০), ফজল মিয়ার ছেলে আলী হোসেন (৪৫), সোহাগ এবং মৃত চাঁন বাদশার ছেলে সেলিম (৪৫)। আসামিদের শনিবার ( ১৪ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত কারাগারে প্রেরণ করেছে।

মামলার এজাহারে এএসআই নুরুজ্জামান বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি কড়ইতলা এলাকার আবুল হোসেন মন্টুর ছেলে বিল্লাল হোসেন ওরফে বিল্লাল ডাকাতের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে৷ আসামি বর্তমানে জালকুড়ির পশ্চিমপাড়া এলাকার আমিনুল ইসলামের বাড়িতে অবস্থান করছে খবর পেয়ে পরোয়ানা তামিল করতে কনস্টেবল মো. কহিনুর ও মমিনুর রহমানকে সাথে নিয়ে সেখানে যান৷ সাথে নাসির নামে স্থানীয় এক নৈশপ্রহরীও ছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়৷

এজাহারে এএসআই নুরুজ্জামান আরও বলেন, আমিনুল ইসলামের বাড়ির সামনেে গিয়ে বাইরে থেকে দরজা খুলতে বলা হয়৷ দরজা না খুলে ভেতর থেকে পুলিশের উদ্দেশে অশালীন ও উদ্ধত্যপূর্ণ কথাবার্তা বলতে থাকে৷ পরে ওই বাড়ির মালিক আমিনুল ইসলাম স্থানীয় মসজিদে ফোন করে জানায় তার বাড়িতে ডাকাত পড়েছে৷ এই খবর মসজিদের মাইকে ঘোষণা করা হলে এজাহারনামীয় আসামিসহ আরও ৩০-৪০ জন স্থানীয় লোকজন জড়ো হয় সেখানে৷ পরে পুলিশের পোশাক ধরে টানাহেচড়া করে এবং লাঠি দিয়ে এলোপাথারি মারধর করা হয়৷

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে৷ হামলার ঘটনায় তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন৷